এম এ মান্নান:
ময়মনসিংহের ফুলপুরে জসিম উদ্দিন (১৮) নামে এক ক্ষেতমজুর খুন হয়েছে বলে নিহতের আত্মীয় ও পুলিশসূত্রে জানা গেছে। উপজেলার রহিমগঞ্জ ইউনিয়নের ধীতপুর গ্রামের আমনকুড়া বিল সংলগ্ন ফিশারীর পাড় থেকে আজ মঙ্গলবার সকাল ১১টার দিকে সিনিয়র পুলিশ সুপার (ফুলপুর সার্কেল) দীপক চন্দ্র মজুমদার ও ওসি ইমারত হোসেন গাজীর নেতৃত্বে পুলিশ জসিমের লাশ উদ্ধার করেন। জসিম ধীতপুর গ্রামের দিনমজুর মিয়াজ উদ্দিন ও রহিমা খাতুনের পুত্র। ঘটনার পর থেকে পাশের বাড়ির খলিলের পু্ত্র সুজন ও তার পরিবারের লোকজন পলাতক রয়েছে। ফলে জসিমের খুনি হিসেবে আত্মীয়দের সন্দেহের তীর সুজনের দিকে।
জানা যায়, রবিবার রাতে ধীতপুর তালীমুল কুরআন ইবরাহিমিয়া মাদরাসায় সভা শুনতে যায় জসিম। তার সাথে একটি মোবাইল ও কিছু টাকা ছিল। পরে রাত ১০টার দিকে তার বোন পারুল তাকে মোবাইলে খানা খেতে ডাকলে সে দূরে আছে বলে জানায়। এরপর পরিবারের সদস্যরা সবাই খানা খেয়ে শুয়ে পড়ে। রাত ১২টায়ও না ফিরলে আবারো মোবাইল করলে জসিমের মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়। পরদিন সোমবারেও তাকে না পেয়ে পরিবারের লোকেরা আশপাশ এলাকায় মাইকিং করলেও জসিমের সন্ধান মিলেনি। পরে আজ মঙ্গলবার ভোর সাড়ে ৬টার দিকে বাড়ির পাশে আমনকুড়া বিল সংলগ্ন ফিশারীর পাড়ে জসিমের লাশ পড়ে থাকতে দেখে এক পথচারী। এরপর খবর পেয়ে পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, জসিমের বাড়িতে স্বজনের আহাজারি। কান্নায় মুচড়া যাচ্ছিলেন তার মা-বাবা ও স্বজনরা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক যুবক বলেন, পাশের বাড়ির সুজন পলাতক। সে একজন চোর, গাঁজাখোর, দুষ্কৃতিকারী ও বখাটে ছেলে হিসেবে এলাকায় পরিচিত। জসিমের বড় ভাই আব্দুর রশিদ জানান, তাদের পাশের বাড়ির খলিলের ছেলে বখাটে সুজনের সাথে মাঝে মাঝে চলাফেরা করতো জসিম। জসিমের সাথে একটা মোবাইল আর কিছু টাকা ছিল। সে নিখোঁজ হওয়ার পর থেকে সুজন পলাতক রয়েছ। এতে আমাদের ধারণা, সুজনই এ কাজ করেছে। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ওসি ইমারত হোসেন গাজী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, জসিমের মাথায় আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে মামলা হয়েছে ও তার লাশ ময়না তদন্তের জন্যে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে আর সুজনকে খুঁজছে পুলিশ। ময়না তদন্তের রিপোর্ট ও সুজনকে পেলে প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে।
ফুলপুরে ক্ষেতমজুরের লাশ উদ্ধার, বখাটে সুজনকে খুঁজছে পুলিশ
