এম এ মান্নান:
বাংলাদেশ প্রতিদিনের ময়মনসিংহ জেলা প্রতিনিধি ও বেসরকারি টেলিভিশন নিউজ টোয়েন্টিফোরের ময়মনসিংহ প্রতিনিধি সৈয়দ মাহফুজুর রহমান নোমানের ওপর হামলাকারিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি এবং সাংবাদিকদের পেশাগত দায়িত্ব পালনে সহযোগিতাসহ সর্বসাধারণের সুচিকিৎসা নিশ্চিতের দাবিতে বুধবার বিকেলে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ফজলুল কবীরের নিকট ময়মনসিংহ প্রেসক্লাবসহ ৮টি সাংবাদিক সংগঠনের পক্ষ থেকে স্মারকলিপি তুলে দেয়া হয়।
এসময় মচিমহার উপ-পরিচালক ডা. লক্ষী নারায়ন মজুমদার, সহকারি পরিচালক ডা. ওয়ায়েজ উদ্দিন খান, ডা. জাকিউল ইসলাম, ডা. ছাইফুল ইসলাম খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠককালে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন ও বেসরকারি টেলিভিশন নিউজ টোয়েন্টিফোরের ময়মনসিংহ প্রতিনিধি সৈয়দ মাহফুজুর রহমান নোমানকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল প্রাঙ্গণে পেশাগত কাজে বাধা প্রদান ও হেনস্থা করায় দুঃখ প্রকাশ ও তীব্র নিন্দা জানিয়ে নাজেহালকারিদের শাস্তির আশ্বাস দেন।
বৈঠকে এবং এর আগে ময়মনসিংহ প্রেসক্লাবে আয়োজিত যৌথ সভায় ময়মনসিংহ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক অমিত রায়, ময়মনসিংহ সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি আতাউল করিম খোকন ও সাধারণ সম্পাদক মীর গোলাম মোস্তফা, ময়মনসিংহ রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি মোশাররফ হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, ময়মনসিংহ টেলিভিশন জার্ণালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি শরীফুজ্জামান টিটু, ময়মনসিংহ টেলিভিশন রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি বাবুল হোসেন, সাংবাদিক বহুমুখি সমবায় সমিতি, সাংবাদিক ক্রীড়া চক্রের সভাপতি নিয়ামুল কবীর সজল, নিউজ চ্যানেল জার্ণালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি হারুনুর রশীদ, সাধারণ সম্পাদক হোসাইন শাহীদ ও ইয়ুথ জার্ণালিস্ট ফোরাম বাংলাদেশ -এর সভাপতি রাকিবুল হাসান রুবেল, আরটিভির বিপ্লব বসাক, চ্যানেল২৪ -এর সুলতান মাহমুদ কনিক, দেশ টিভির ইলিয়াস আহমেদ, মোহনা টিভির মাহমুদুল হাসান মিলন, প্রথম আলোর জগলুল পাশা রুশো, বিটিভির জাহানুল করিম শিমুলসহ সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। নেতৃবৃন্দ একাধিক যৌথ সভায় সাংবাদিক হেনস্থার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, গত সোমবার (৩১ আগস্ট) সকালে বেসরকারি টেলিভিশন ‘নিউজ টোয়েন্টিফোর’ চ্যানেলের পূর্ব নির্ধারিত অ্যাসাইনমেন্ট অনুযায়ী ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আটতলা ভবনের বহিঃবিভাগের বাইরে পানির ফোয়ারার সামনে থেকে ‘সরাসরি’ সম্প্রচার করার সময় আবুল কালাম আজাদ ও আরিফুল ইসলাম সিফাত নামে দুই সন্ত্রাসী ঘটনাস্থলে এসে সাংবাদিক সৈয়দ মাহফুজুর রহমান নোমান ও ক্যামেরা পারসন শৈবাল দাসকে হেনস্থা করে। সন্ত্রাসীরা হাসপাতালের আউটসোসিং -এর লোক পরিচয় দিয়ে ক্যামেরা কেড়ে নেয়ার চেষ্টা করে। হামলাকারিরা সাংবাদিক নোমানকে দেড় ঘণ্টার বেশি আটকে রাখে এবং মারধর করতে উদ্যত হয়। এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানান সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ।
তথ্য সংগ্রহ : ময়মনসিংহ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক অমিত রায়ের ফেইসবুক আইডি থেকে।
বাংলাদেশ প্রতিদিনের জেলা প্রতিনিধি নোমানের উপর হামলাকারীদের শাস্তির দাবিতে স্মারকলিপি পেশ
