এম এ মান্নান
১০৭৯ নম্বর পেয়ে ভিখারুন্নেছা নূন স্কুলের এক ছাত্রী ঢাকা বোর্ডে মেধা সিরিয়ালে ৩য় কিন্তু ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের কার্ডিওলজি বিভাগের এসোশিয়েট প্রফেসর বৃহত্তর ফুলপুরের কৃতি সন্তান ডা. গণপতি আদিত্যের কনিষ্ঠ পুত্র ঢাকা বোর্ডের অধীনস্থ ময়মনসিংহ জিলা স্কুলের মেধাবী ছাত্র অর্ভিন ১০৮২ পেলেও সিরিয়ালে তার নাম নেই! কি অভিনব বিষয়! বিষয়টি নিয়ে অর্ভিন, তার পরিবার ও শুভাকাঙ্খীদের মাঝে হতাশা বিরাজ করছে। তারা দ্রুত এর নিরসন চায়।
ডা. গণপতি আদিত্য তার ফেইসবুক আইডিতে লিখেন, আমার কনিষ্ঠ পুত্র অর্ভিন এবার জিপিএ ৫ পেয়ে ময়মনসিংহ জিলা স্কুল থেকে এস এস সি পাস করেছে। তার মোট নাম্বার ছিল ১৩০০। স্কুলের অধীনে ১৫০ ও বোর্ডের অধীনে ১১৫০। অর্ভিন মোট ১০৮২ নম্বর পেয়েছে। চলতি জুনের ১১ তারিখে একটি টিভি চ্যানেলে ঢাকা বোর্ডের সর্বোচ্চ নম্বর প্রাপ্ত ৫ জনের নাম প্রকাশ করে তাদের সাক্ষাৎকার প্রচার করা হয়। সবাই ঢাকার ভিখারুন্নেচ্ছার ছাত্রী। প্রথম জন ১০৮৭, দ্বিতীয় ১০৮৪, তৃতীয় ১০৭৯…। অর্ভিনের বাবা ডা. গণপতির প্রশ্ন, ১০৮২ পেয়ে আমাদের অর্ভিন গেলো কই? সিরিয়ালে তার নাম নেই কেন? এ বিষয়ে জানতে বোর্ডে ফোন করা হলে বলা হয় ‘অসম্ভব, আমরা এই তালিকা দেইনি। আপনি কি ওয়েব সাইটে দেখেছেন?’ জবাবে গণপতি বলেন, না, দেখিনি। তবে বোর্ডের রেফারেন্স দিয়ে একটি টিভি চ্যানেল তাহলে এতো বড় একটি সংবাদ করলো কীভাবে? উত্তরে বোর্ড থেকে বলা হয়, ‘এটা সাংবাদিকের ব্যাপার।’ সাংবাদিক সাহেবকে ফোন করা হলে তিনি জানান, রেজাল্ট ঠিক আছে, কোন ভুল নেই। চুলচেরা বিশ্লেষণ করে দেয়া হয়েছে। তারপর ডা. গণপতি বলেন, আপনার রিপোর্টে ১০৭৯ নম্বর পেয়ে ৩য় কিন্তু আমার ছেলে ১০৮২ পেয়েও লিস্টে তার নাম নাই কেন, ভাই ? সাংবাদিক বলেন, আপনার ছেলের ফোর্থ সাবজেক্টে মার্ক কত? বললেন, ১০০। তারপর সাংবাদিক বললেন, আপনি সুবিচার পাবেন। অপেক্ষা করেন, দেখছি…। এরপর এখনও এ বিষয়ে আর কিছু জানা যায়নি। অর্ভিনের বাবা ও তার শুভাকাঙ্খীরা সাংবাদিকের দেওয়া আশ্বাসে আশ্বস্ত হয়ে আছেন। তারা যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট শীগ্রই এর একটা সুষ্ঠু সূরাহা দাবি করেন।
১০৭৯ পেয়ে বোর্ডে ৩য় কিন্তু ১০৮২ পেলেও সিরিয়ালে অর্ভিনের নাম নেই!
