মো. আব্দুল মান্নান :
ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলা সদর থেকে সরচাপুর মহাসড়কÍ ও হালুয়াঘাট থেকে মুন্সিরহাট সড়কের অবস্থা খুবই নাজুক, যেন মরণ ফাঁদ। পুরো রাস্তাটিই স্থানে স্থানে ভেঙে গেছে। পিচ-পাথর ওঠে ও সুরকি-বালু সরে গিয়ে ছোট বড় শত শত খাদের সৃষ্টি হয়েছে। সরেজমিন গিয়ে হালুয়াঘাট বাসস্ট্যান্ড, দর্শাপাড়া, গাঙিনারপাড়, নগুয়া, কিসমত নড়াইল, ইটাখলা, ধারা বাজার, বীরগুছিনা, নাগলা বাজার, নাগলা আরফান ফিলিং স্টেশন, বড়বিলা, সরচাপুর ও মুন্সিরহাট সড়কে আকনপাড়া, সূর্যপুর, মেকিয়ারকান্দাসহ বিভিন্ন জায়গা পরিদর্শন করলে নজরে পড়ে রাস্তার করুণ অবস্থা। পিচ-পাথর ওঠে ও সুরকি-বালু সরে গিয়ে বড় বড় খাদের সৃষ্টি হয়েছে। কোথাও কোথাও রাস্তার কান্দি বা পাড় ভেঙে গেছে। মাঝে মাঝে ইটের সুরকি দিয়ে গর্ত ভরাট করলেও সপ্তাহান্তেই যেই-সেই। এতে চলাচলের সময় ব্যাপক ঝাঁকিতে সীটেও বসে থাকা দায়। এমতাবস্থায়, বৃদ্ধ, শিশু, গর্ভবতী মা ও রোগীদের জন্য তো বটেই বরং সুস্থ্য মানুষের জন্যেও ওই রাস্তা যেন এক মরণ ফাঁদ বা আতঙ্কে পরিণত হয়েছে। এর ফলে দুর্ঘটনা বাড়ছে। বিকল্প কোন রাস্তা না থাকায় একই রাস্তা দিয়ে হালুয়াঘাটের গোবরাকুড়া ও কড়ইতলী স্থল বন্দরের কয়লা ভর্তি শত শত ট্রাকসহ যাত্রীবাহী ছোট বড় হাজারো যান চলাচল করায় প্রতিনিয়ত নষ্ট ও অকেজো হয়ে পড়ছে যান-বাহনও। এতে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন চালক, মালিক ও যাত্রীরা। অথচ কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে কোন পদক্ষেপ নিচ্ছে না বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের। ভুক্তভোগীরা জরুরিভিত্তিতে রাস্তাটি সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাসুদ খান একবার বলেছিলেন ২০১৮ সনের নভে¤Ÿরে কাজ শুরু হবে কিন্তু হয়নি। পরে বলছিলেন, নির্বাচনের পরই শুরু হবে কিন্তু হয়নি। এবার বললেন, মন্ত্রণালয়ে আমরা প্রস্তাব পাঠিয়েছি। তখন হালুয়াঘাট-ধোবাউড়া আসনের এমপি জুয়েল আরেং ও উপজেলা চেয়ারম্যান ফারুক আহমেদ খানও গিয়েছিলেন। ওটা পাস হলেই কাজ ধরা যাবে। এ বিষয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান ফারুক আহমেদ খান প্রায় এক মাস আগে বলেছিলেন, আর মাত্র ৪/৫দিন পরই কাজ শুরু হবে কিন্তু হয়নি। এসব রোডের যাত্রীরা এখন হতাশ। তারা জানতে চায় রাস্তাগুলো আদৌ মেরামত হবে কি?
হালুয়াঘাট সড়ক আদৌ মেরামত হবে কি
