এম এ মান্নান
ময়মনসিংহের ফুলপুর বাসস্ট্যান্ডে বাস কম থাকায় ঢাকা ফেরত যাত্রীরা চরম দুর্ভোগে। ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে ছুটি পেয়ে একটু রেস্ট ও আপনজনদের একনজর দেখার জন্য ছুটে এসেছিল গার্মেন্টস কর্মীরা। রবিবার তাদের গার্মেন্টস ফ্যাক্টরী খোলা। সময়মত না গেলে বেতন কর্তনসহ হতে পারে নানা ধরনের জরিমানা। তাই রাতেই ঢাকা ফেরত যেতে ফুলপুর ও আশপাশ এলাকার গার্মেন্টস কর্মীরা যেন একযোগে বাসস্ট্যান্ডে। শনিবার দিনব্যাপী এমনকি রাত সাড়ে ৮টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ফুলপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকা ছিল লোকে লোকারণ্য। যেন ছিল না পা ফেলার ঠাঁই। মসজিদের সিঁড়িতে, মাটিতে এমনকি ধুলো-বালিতে বসে গাড়ির অপেক্ষায় প্রহর গুণছে অসহায় যাত্রীরা। দিউ গ্রামের শিউলী জানান, তিনি তিন ঘন্টা যাবৎ বাসের অপেক্ষায় থেকেও বাস পাচ্ছেন না। হঠাৎ এক আধটা আসলে হুড়োহুড়ি করে উঠতে পারেন না। একই কথা বলেন, গোয়াতলার রোজিনা। যুহরের পর মসজিদ থেকে বের হওয়ার সময় কথা হয় মসজিদের সিঁড়িতে বসা তন্দ্রাচ্ছন্ন ইমাদপুরের শাহিদার সাথে। তিনি বলেন, দীর্ঘক্ষণ ধরে বাস না আসায় অপেক্ষা করতে করতে চোখে ঘুম এসে গেছে। হালুয়াঘাটের ইমন বলেন, হঠাৎ এক আধটা বাস আইলে ওরা ৩শ টাকার ভাড়া ৫শ টাকা চাচ্ছে। ট্রাকে গেলেও চায় ২ থেকে আড়াইশ টাকা। তারপরও হুড়োহুড়ি করে এখনও পর্যন্ত যেতে পারছি না।ভাইটকান্দির মিনু মিয়া বলেন, তার কাছে ৩শ টাকার বাসভাড়া ৫শ টাকা হাঁকা হচ্ছে। ছোট শুনইয়ের আলাল উদ্দিন ও খরমার হাফেজ মাহদীকে বাড়িতে ফিরে যেতে দেখা গেছে। এ ব্যাপারে শ্যামলী বাংলা (ঢাকা মেট্রো-ব ১১-৫২৪৪)’র ড্রাইভার খাইরুল জানান, আমাদের ঢাকা থেকে খালি আসতে হয়েছে। এখন ৪শ করে নিচ্ছি। এছাড়া পোষাবে না। একই কথা বলেন, ইমাম (২০-২৩৬৫) গাড়ির সুপার ভাইজার। ময়মনসিংহ জিলা মটর মালিক সমিতি ফুলপুর শাখার সাধারণ সম্পাদক একেএম সিরাজুল হকের নিকট বাড়তি ভাড়া ও বাস ক্রাইসিস বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বাসের ক্রাইসিস আছে বলে আমার জানা নেই। এমনে সাধারণত: ফুলপুর থেকে ঢাকার ভাড়া দেড়শ-দুইশ নেয়া হলেও নির্ধারিত ভাড়া আরও বেশি আছে। তবে কেউ ৪শ টাকা নিলে সে বেশি নিচ্ছে বলেও তিনি মনে করেন।এমন জুলুম কেহ করে থাকলে তিনি খতিয়ে দেখবেন বলেও জানান।
ফুলপুর বাসস্ট্যান্ডে বাস কম যাত্রীরা দুর্ভোগে
