এম এ মান্নান
আপন খালাতো ভাই লেখক গবেষক সাহিত্যিক সমাজকর্মী অত্যন্ত মেধাবী ব্যক্তিত্ব হাফেজ মাওলানা মুখলেসুর রহমান সম্বন্ধে কথা বলতে গিয়ে নালিতাবাড়ি মহিলা আলিম মাদরাসার অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা মাহমূদ মুস্তফা বলেন, মুখলেস চেষ্টা করলে লেখনি ও ইলমি ময়দানে ঈর্ষণীয় অবদান রাখতে পারতেন ।৩১ অক্টোবর সকালে ফুলপুর এক্সিলেন্ট স্কুল এন্ড মাদরাসায় বেড়াতে আসলে আলাপের এক পর্যায়ে ছোটবেলার বন্ধু ও খালাতো ভাই মুখলেসের প্রসঙ্গ ওঠে আসে। তখন তিনি তার ভূয়ূষী প্রশংসা করেন ও এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ইলমি ও লেখনি ময়দানে মুখলেসের যে প্রখরতা রয়েছে তা কাজে লাগাতে পারলে জাতি অনেক উপকৃত হতে পারতো। চেষ্টা করলে তিনি এ ক্ষেত্রে বড় ধরনের খেদমত আঞ্জাম দিতে পারেন।বর্তমানে তিনি এ ময়দানে নেই। তিনি নিজেকে সদা মানবসেবায়ই জড়িয়ে রাখেন।তবে ইলমি ও লেখনি ক্ষেত্রে তার মত মানুষের বড় প্রয়োজন বলে আমি মনে করি। এদিকে একটু নজর দিলে জাতি অনেক উপকৃত হবে।তার যে উন্নত সাহিত্যিক চিন্তা চেতনা ও রুচিবোধ রয়েছে ইলমি ক্ষেত্রে এর সংমিশ্রণ ও সংযোজন ঘটলে পাল্টে যেতে পারে দৃশ্যপট।শিক্ষা ক্ষেত্রে উন্মোচিত হতে পারে নতুন দিগন্তের।কিন্তু তিনি এ বিষয়ে চিন্তার যেন সময় পাচ্ছেন না। তিনি একজন তুখোর হাফেজ। আলিয়া মাদরাসা থেকে পরীক্ষা দিয়ে প্রতি ক্লাসে ফার্স্ট ক্লাসসহ স্ট্যান্ড করেন।এছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও লন্ডনে স্টাডি করছেন তিনি। তিনি বিশুদ্ধ ও প্রাঞ্জল ভাষার অধিকারী। আরবী ও ইংরেজিতে দক্ষ ও অত্যন্ত চমৎকারভাবে অনর্গল টকিংয়ে সক্ষম। যার উদাহরণ উলামায়ে কেরামের মাঝে বিরল।তিনি তা’মিরুল মিল্লাত কামিল মাদরাসা টঙ্গী শাখার প্রতিষ্ঠাতা প্রিন্সিপাল ছিলেন। এছাড়া বাংলাদেশের ইসলামী ব্যাংক সমূহের শরীয়া কাউন্সিল বোর্ডের একাধিকবার নির্বাচিত সেক্রেটারী জেনারেল ছিলেন। বর্তমানে তিনি ইসলামী ব্যাংক ফাউন্ডেশনের অন্যতম সদস্য ও ইসলামী ব্যাংক হাসপাতাল প্রাইভেট লি: এর ডাইরেক্টর।তিনি একজন ইন্সট্রাক্টর হিসেবে বিভিন্ন দেশে ব্যাংকিং বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকেন।ইলমি ও লেখালেখির ময়দানে তার প্রচুর অর্জন রয়েছে। ব্যাংকিং বিষয়ে ইতোমধ্যে তিনি বেশ কয়েকটি পুস্তক রচনা করে সুনাম ও প্রশংসা কুঁড়িয়েছেন। তার লেখা বইয়ের মধ্যে কয়েকটি হলো- ইসলামিক ব্যাংকস সেন্ট্রাল শরীয়াহ বোর্ড জার্ণাল, সন্ত্রাস নয় শান্তি ও মহানুভবতার ধর্ম ইসলাম প্রভৃতি। নালিতাবাড়ি উপজেলার অত্যন্ত সনামধন্য প্রতিষ্ঠান গড়কান্দা মহিলা আলিম মাদরাসার অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা মাহমূদ মুস্তফা মনে করেন, মাসিক মদীনার সম্পাদক মাওলানা মুহিউদ্দিন খানের স্থান পূরণ করার মত লোকের আজ বড় অভাব। মুখলেস যদি ইলমি ও লেখনি জগতে এগিয়ে আসতেন তবে মরহুম মুহিউদ্দিন খানদের আত্মা কিছুটা হলেও শান্তি পেতো।
imdb der ghostwriter
মুখলেস চেষ্টা করলে লেখনি ও ইলমি ময়দানে ঈর্ষণীয় অবদান রাখতে পারতেন — মাহমূদ মুস্তফা
