এম এ মান্নান
ক্বিয়ামতের ময়দানে টাকার গরম, দলের গরম, বংশের গরম চলবে না। ওইদিন প্রত্যেক দলের নেতানেত্রীদের ডাকা হবে।তাদের সাথে তাদের অনুসারীদের হাশর নাশর হবে। বাজান, ঈমানকে মজবুত করে পুরোপুরি দীনের ভিতরে ঢুকো। ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলা সদরে ডিএস আলিম মাদরাসা ময়দানে মঙ্গলবার ২৬ সেপ্টেম্বর বাদ আসর থেকে মাগরিব পর্যন্ত হালুয়াঘাট উপজেলা মুজাহিদ কমিটির উদ্যোগে অনুষ্ঠিত বিশাল ওয়াজ মাহফিল ও হালকায়ে জিকির অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে চরমোনাইয়ের পীর আল্লামা সৈয়দ মো. রেজাউল করিম এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, যে আমল করা ফরজ সে আমলের ইলম শিক্ষা করাও ফরজ। যারা আত্মাকে পবিত্র করেছে তারাই জান্নাতে যেতে পারবে। যার ভিতরে ১০টি বদ খাসলত রয়েছে সে জান্নাতে যেতে পারবে না। ঐ ১০ বদ খাসলতের মধ্যে তাকাব্বুরী হলো অন্যতম। যার মধ্যে তাকাব্বুরী থাকবে সে জান্নাতের ঘ্রাণও পাবে না।তাকাব্বুরী সম্বন্ধে অন্য এক জায়গায় গুলশান সেন্ট্রাল মসজিদের ইমাম আল্লামা মাহমূদুল হাসান বলেন, মানুষ যদি জানতো তাকাব্বুরী কত বড় অন্যায়, তবে মানুষ তাকাব্বুরকে সমাজ থেকে বাদ দিত। চরমোনাই পীর বলেন, একদিন বড়পীর আব্দুল কাদির জিলানী (রহ.)কে কুকুরে প্রশ্ন করে। কুকুর বলে, পীর সাহেব, আপনি ভাল নাকি আমি ভাল? কুকুরের প্রশ্নের জবাবে বড়পীর বলেন, ক্বিয়ামতে যদি মাওলা আমারে মাফ করে দেন, তবে আমি তোর চেয়ে ভাল। আর যদি মাওলা আমারে মাফ না করেন তবে তুই কুকুর আমার চেয়েও অনেক ভাল। এরপর পীর সাহেব হযরত আবু বকর রা. ও হযরত উসমান রা. এঁর কবরের ভয় সংক্রান্ত ঘটনা বর্ণনা করেন। তারপর তার পরিবারের ঘটনা বর্ণনা করতে গিয়ে বলেন, আমার আব্বাজান একদিন ফুপাইয়া ফুপাইয়া কাঁদতেছিলেন। কান্নার আওয়াজ শুনে দাদাজান জিজ্ঞাসা করেন, বাবা, কাঁদো কেন? আব্বাজান বলেন, চুলার পাড়ে বসে লক্ষ্য করছিলাম, লাকড়িগুলোর মাথায় আগুন লাগায় ফটফট করে পোড়ার শব্দ হচ্ছিল। শব্দ শুনে মনে মনে ভাবলাম, মুই যদি দোজখী হই, মোর শরীরে যদি এভাবে আগুন লেগে যায় তবে আমার শরীরের হাঁড়গুলোও এভাবে ফটফট করে শব্দ করে পুড়তে থাকবে।একথা ভেবে আমি ফুপাইয়া ফুপাইয়া কাঁদতেছিলাম। পীর সাহেব বলেন, বাজান, কবরের ভয়ে কাইন্দা লও। যাদের কলবে মাওলার ভয় আছে, মাওলার যিকির আছে, তাদের কলব নরম থাকে। মাওলার ভয়ে তাদের চোখে জল ছলছল করে ওঠে। এরপর পীর সাহেব মায়ানমারের প্রসঙ্গ টানেন। তিনি বলেন, মায়ানমারের ব্যাপারে কেউ কথা বলে না। মুসলমান যদি এক ফ্ল্যাটে দাঁড়িয়ে কথা বলতো তবে মায়ানমারকে দাঁতভাঙা জবাব দেয়া যেতো। তিনি বলেন, of the people, by the people, for the people কুফুরী মন্ত্র। ঈমানী মন্ত্র হলো, by the Allah, for the Allah. তিনি বলেন, যার ভিতরে জিহাদী অনুপ্রেরণা নেই সে মুনাফিক হয়ে মৃত্যুবরণ করবে।সবশেষে তিনি উপস্থিত সকলকে তাওবা পড়িয়ে বায়াত করান। এর আগে তিনি মুনাজাত পরিচালনা করেন। মঞ্চে আরও বক্তব্য রাখেন, ময়মনসিংহ জেলা শাসনতন্ত্র আন্দোলনের সভাপতি মাওলানা গোলাম মাওলা ভুঁইয়া, হালুয়াঘাট উপজেলা শাসনতন্ত্র আন্দোলনের সভাপতি ক্বারী আব্দুল মালেক, মাঝিয়াইল মাদরাসার মুহতামিম মাওলানা নূর হুসাইন, নাজিমে তালীমাত মাওলানা নজরুল ইসলাম, ইসলামী শাসনতন্ত্র হালুয়াঘাট উপজেলা শাখার ছাত্র আন্দোলনের সভাপতি হাফেজ মাওলানা মুনীরুল ইসলাম প্রমুখ। নিউজটির পরিপূর্ণতায় ছবি তুলে দিয়ে সহযোগিতা করেছেন প্রতিদিনের সংবাদ পত্রিকার হালুয়াঘাট প্রতিনিধি মাজহারুল ইসলাম মিশু ও তথ্য দিয়ে হেল্প করেছেন, পপুলার লাইফের ফুলপুর সার্ভিস সেলের সহকারী পরিচালক সাপ্তাহিক ফুলতারার সাংবাদিক রাকিবুল ইসলাম মাহফুজ।
Nach schätzung von lehrkräften sind sogar rund die https://schreib-essay.com/hausarbeit/ hälfte der jungen und ein drittel der mädchen von diesen problemen betroffen
ক্বিয়ামতের ময়দানে টাকার গরম দলের গরম চলবে না — পীর সাহেব, চরমোনাই
