এম এ মান্নান
দারুল উলূম নিযামিয়া মোমেনশাহীতে বিফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া মোমেনশাহী জেলা শাখার উদ্যোগে বুধবার সকাল ১০টা থেকে যুহর ও যুহরের পর থেকে আসর পর্যন্ত তা’লীম তরবিয়াতের মান উন্নয়ন শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন, জামিয়া আরাবিয়া আশরাফুল উলূম বালিয়ার মুহতামিম মাওলানা আইন উদ্দিন।সভায় ময়মনসিংহের সকল উপজেলার প্রায় ৬শ কওমী মাদরাসার মুহতামিম ও নাযিমে তা’লীমাতবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।প্রথম অধিবেশনে বক্তব্য রাখেন, আল্লামা মুফীজুদ্দীন, মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহ সাদী, মুফতী আহমাদ আলী, মাওলানা সাইফুল ইসলাম, মাওলানা আবুল কাসেম ইবরাহীমী, মাওলানা মাহমুদুল হাসান সালমানী, মাওলানা নুরুল আমিন, মাওলানা আবুল কালাম প্রমুখ। এ সময় বিফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়ার মহাসচিব ফরিদাবাদ মাদরাসার মুহতামিম আল্লামা আব্দুল কুদ্দুস প্রধান অতিথি হিসেবে মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন। বক্তব্যে মাদরাসাগুলোর তা’লীম তরবিয়াতের হালত তুলে ধরা হয়।এক বক্তা বলেন, সহীহ করে কুরআন শরীফ পড়তে পারে না এমন ছাত্রকেও ইফতাতে ভর্তি করা হয়।মাওলানা সাইফুল ইসলাম বলেন, নিজভাষায় দক্ষতা অর্জনের বিকল্প নেই। তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, মাতৃভাষা বাংলা চর্চা করলে সাওয়াব হবে না এমন কথা কে বলে? সকল বিষয়ের প্রতিই তিনি গুরুত্ব দেয়ার দাবী জানান। নান্দাইল বারুইগাঁও মাদরাসার মুহতামিম মাওলানা আবুল কাসেম ইবরাহীমী বলেন, প্রত্যেক উস্তাদকে রাসূলের আওসাফে গুণান্বিত হওয়া জরুরী। শিক্ষকদেরকে মাদরাসার মাল ও সন্তানদের প্রতি লক্ষ্য রাখতে হবে। দুগাছিয়া গফরগাঁও মাদরাসার মুহতামিম মাওলানা মাহমূদুল হাসান সালমানী বলেন, তা’লীমের মান উন্নয়ন করতে হলে তরবিয়াতী উস্তাদ একান্ত প্রয়োজন। তিনি বাংলা ও গুলেস্তাঁকে অত্যাবশ্যক করারও দাবী জানান। পাশাপাশি তিনি দাওরায়ে হাদীসের কোর্সকে দুই বছরের করার খেয়াল পেশ করেন। বক্তব্যে কেউ কেউ বোর্ডে স্বজনপ্রীতির অভিযোগ এনে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।যা বেফাকে কাম্য নয়। ইবারত পড়তে না পারলে কোন অবস্থাতেই উপরের জামাতে তরক্বী না দিতে আহ্বান জানান শিকারীকান্দা মাদরাসার শায়খুল হাদীস আল্লামা মুফীজুদ্দীন। আল্লামা খালেদ সাইফুল্লাহ সাদী বলেন, মাঠ পর্যায়ে ভিজিট করে যেসব ত্রুটি পাওয়া যায় বেফাক এ পর্যন্ত এর কোন ব্যবস্থা নেয়নি। নিলে হয়ত কওমী মাদরাসাগুলোর সার্বিক মান আরও উন্নত হতে পারতো। তিনি জানতে চান, কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের মাঠ পর্যায়ে চাহিদা।মুফতী আহমাদ আলী বিফাককে রাজনীতিমুক্ত রাখা, এর পদ বন্টন, ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা, সনদ হস্তান্তর, নাজেরা পরীক্ষার ব্যবস্থা ও বিভাগীয় কার্যালয়সহ ১২টি দাবী পাঠ করে শোনান। মহাসচিব আল্লামা আব্দুল কুদ্দুস বলেন, শরীয়তের মাতলুব অনুযায়ী উস্তাদদের আমল আছে কিনা তা দেখতে হবে। যার জবান ও হাত দ্বারা অন্যরা কষ্ট পায় না সেই প্রকৃত মুসলমান। তিনি বলেন, কিতাবের পড়া যদি কলবের মধ্যে না ঢুকে, কলবের সাথে ইলমের তায়াল্লুক না হয় তবে ঐটাকে ইলম বলা হয় না। ইলমের তায়াল্লুক কলবে থাকলে কলবের তায়াল্লুক আল্লাহর সাথে হয়। তাই উস্তাদদেরকে মিথ্যা গিবত শেকায়েত থেকে মুক্ত থেকে তা’লীম দিতে হবে। তবেই এর মান উন্নয়ন হবে। সভাপতির বক্তব্যে মাওলানা আইন উদ্দিন বলেন, ছাত্র গঠন করতেছেন আপনি, গেছেগা অন্য মাদরাসায়। নাম অইতাছে অন্য মাদরাসার। এগুলো বন্ধ করতে হবে। কিভাবে উন্নত ছাত্র গঠন করা যায়, সেই ফিকির সকলকেই করতে হবে। তবেই তালীমের মান উন্নয়ন সম্ভব। তার মুনাজাতের মাধ্যমে প্রথম অধিবেশনের সমাপ্তি ঘটে। এরপর দ্বিতীয় অধিবেশনে ময়মনসিংহ মাখযানুল উলূম মাদরাসার পরিচালক আল্লামা আব্দুর রহমান হাফিজ্জীর সভাপতিত্বে মূল্যবান বক্তব্য রাখেন, আল্লামা নূরুদ্দীন গহরপুরী রহ. এর সাহেবজাদা মুসলেহ উদ্দিন রাজু, জুবায়ের আহমাদ চৌধুরী, কিশোরগঞ্জের আল্লামা আজহার আলী আনওয়ার শাহ প্রমুখ। সভার সার্বিক দায়িত্বে ছিলেন, দারুল উলূম নিযামিয়ার মুহতামিম হাফেজ মাওলানা আমিনুল হক।
Emerging at sunset kala refugee camp, zambia francis and type my essay with https://www.essaysreasy.online/ chicken kala refugee camp, zambia
ময়মনসিংহের বাড়েরায় তা’লীম তরবিয়াতের মান উন্নয়ন শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত
